বাংলাদেশের সঠিক নির্বাচন এর করণীয় বিস্তারিত জানুন
  আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা অনেক ভাল আছেন। আজকে যে বিষয় নিয়ে
  কথা বলব সেটি হচ্ছে বাংলাদেশের সঠিক নির্বাচন এর করণীয় সম্পর্কে সহজ আলোচনা করব। তাই এই
  পোস্টটি সম্পন্ন পড়তে থাকুন তাহলে বুঝতে পারবেন বাংলাদেশের সঠিক নির্বাচন এর
  করণীয় বিস্তারিত।
তাই আপনি যদি বাংলাদেশের সঠিক নির্বাচন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি আপনি বাংলাদেশের সঠিক নির্বাচন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে যাবেন।
পোস্ট সূচীপত্র: বাংলাদেশের সঠিক নির্বাচন এর করণীয় বিস্তারিত জানুন
ভূমিকা
  আপনারা অনেকেই জানেন যে আগামী জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের সরকার নির্বাচনীয় ভোট
  সংঘটিত হবে। আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যারা সঠিক নির্বাচনের করণীয় বিষয়গুলো
  সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে বাংলাদেশের সঠিক
  নির্বাচন এর করণীয় বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে নানান তথ্য তুলে ধরা হবে। তাই আপনি
  যদি সঠিক নির্বাচনের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ
  দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো। চলুন দেরি না করে শুরু করি।
বাংলাদেশের সঠিক নির্বাচন এর করণীয়
  শুরুতেই আমরা জানি যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় সংসদ সভা এবং এটি
  এক কক্ষ বিশিষ্ট হয়ে থাকে। আর জনসাধারণের প্রত্যক্ষ ঘটে নির্দিষ্ট আইন মেনে
  নির্বাচিত করা হয় ৩০০ জন সংসদ সদস্যকে। এছাড়াও সংসদ সদস্য রূপে মনোনীত হন মহিলা
  সংসদ সদস্যের সুরক্ষিত আসনের ৫০ জন মহিলা। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হলেন নির্বাচিত
  রাজনৈতিক দলের প্রধান। সাধারণত নির্বাচন দুই প্রকারের হয়ে থাকে যেমন,
- প্রত্যক্ষ নির্বাচন
 - এবং পরক্ষণ নির্বাচন
 
প্রত্যক্ষ নির্বাচন
    সাধারণত প্রত্যক্ষ নির্বাচন বলা হয় যদি ভোটাররা নিজেরাই নিজেদের প্রতিনিধিকে
    নির্বাচন করে তখন। বর্তমানে এই পদ্ধতিতেই জনগণের দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত হয়
      গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র সমূহের আইনসভার সদস্যগণ। সাধারণত প্রত্যক্ষ নির্বাচন সবচেয়ে সহজ এবং সরল নির্বাচন। এক্ষেত্রে জনগণ যাকে যোগ্য মনে করে তাকে ভোট দেন। অর্থাৎ তারা ভোট দিতে গিয়ে যে সদস্যকে একদম পছন্দ করে ফেলে মূলত তাদেরকেই
      ভোট দেন। আর এই ভোটের কারণেই একজন ভোট প্রার্থী নির্বাচিত হন। বর্তমানে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নির্বাচন প্রত্যক্ষ নির্বাচন।
  
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় কত সালে
  পরোক্ষ নির্বাচন
    পরোক্ষ নির্বাচন হচ্ছে প্রতিনিধি নির্বাচন না করে একটি মাধ্যমিক সংস্থা গঠন করে এবং
      ভোটার গণ প্রত্যক্ষভাবে তাদের নির্বাচন করে। সাধারণত চূড়ান্তভাবে প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন করে এই মাধ্যমিক সংস্থা
      নির্বাচিত সদস্য গণ। নির্বাচন সংস্থা বলা হয়ে থাকে মাধ্যমিকে। এক্ষেত্রে পরোক্ষ নির্বাচনে জনগণের ভোট পছন্দমত দেওয়ার কোন ক্ষমতা থাকে
      না। অর্থাৎ যেই সদস্যকে প্রতিনিধিত্ব ভাবে নির্বাচন করা হয় তাকে মূলত ভোট
      দিতে হয়। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কলেজের সদস্যদের দ্বারা
      নির্বাচিত হয়ে থাকেন পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে।
  
  সঠিক নির্বাচন এর করণীয়
- সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের ভোট দেয়ার অধিকার দেওয়া।
 - প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচন করা।
 - গোপন ভাবে ভোট ব্যবস্থাপনা।
 - অর্থাৎ গোপন বেলেটের মাধ্যমে ভোট প্রদান।
 - সহজ ভোট পদ্ধতি নির্বাচন করা।
 - একক এবং ক্ষুদ্র নির্বাচনী এলাকা।
 - প্রতিটি এলাকা থেকে একজন প্রতিনিধি নির্বাচন হওয়া।
 - যাতে করে মানুষের ভোটদান করতে সুবিধা হয়।
 - নির্বাচন এলাকা ছোট করা।
 - সর্বশেষ সংখ্যালঘুর প্রতিনিধিত্ব করা।
 - অর্থাৎ রাষ্ট্রের সকল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের জন্য উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন করা।
 
বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতি
  সাধারণত বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতি এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে করে মানুষ নিজেদের
  পছন্দমত প্রতিনিধিকে ভোট প্রদান করতে পারেন। অর্থাৎ প্রথমত সরকার যোগ্যতা মোতাবেক
  নির্দিষ্ট কয়েকজন প্রতিনিধিকে তাদের নির্বাচনের জন্য কার্ড প্রদান করে। অর্থাৎ,
  আওয়ামী লীগ থেকে একজন প্রতিনিধি কার্ড পায়, বিএনপি থেকে একজন প্রতিনিধি কার্ড
  পান এবং জামায়ত কিম্বা অন্য থেকে সাধারণত একজন প্রতিনিধি কার্ড পেয়ে থাকেন।
  মূলত এই তিন প্রতিনিধির মধ্যে ভোটের লড়াই শুরু হয়। প্রতিনিধিরা কার্ড পাওয়ার
  পর তারা তাদের এলাকার জনগণের কাছে যান এবং তাকে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ পোষণ
  করেন। এছাড়াও একজন প্রতিনিধি বলেন মানুষকে আশ্বাস দেন যে জনগণ যদি তাকে ভোট দেয়
  তাহলে তিনি কি কি উন্নয়ন প্রকল্প স্থাপন করে নিবেন। এভাবে প্রত্যেকটা প্রতিনিধি
  জনগণের কাছে যায় এবং তাদের সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং জনসাধারণের কাছে
  তাদের মূল্যবান ভোট চান।
  এরপরে ভোটের দিনে জনসাধার তাদের পছন্দমত প্রতিনিধি নির্বাচন করেন এবং সেই
  প্রতিনিধিকে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন। আর ভোট দেয়ার নিয়ম খুবই
  সাধারণ তার কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের অনেক মানুষ রয়েছে বৃদ্ধ যারা তেমন একটা
  লেখাপড়া জানে না। সে ক্ষেত্রে তাদেরকে একটি ব্যালট পেপার দিয়ে দেওয়া হয় এবং
  সেই ব্যালট পেপার থেকে তারা তাদের পছন্দমত প্রতিনিধি নির্বাচন করে ভোট প্রদান
  করে। সর্বশেষ যে প্রতিনিধি সবচেয়ে বেশি ভোট পাই সে নির্বাচিত হয়ে যায়। তাহলে
  আশা করি বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশে নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তালিকা
- সংসদ নির্বাচন - ১৯৭৩ সাল।
 - সংসদ নির্বাচন - ১৯৭৯ সাল।
 - সংসদ নির্বাচন - ১৯৮৬ সাল।
 - সংসদ নির্বাচন - ১৯৮৮ সাল।
 - সাংসদ নির্বাচন - ১৯৯১ সাল।
 - সংসদ নির্বাচন - ১৯৯৬ সাল।
 - সংসদ নির্বাচন - ২০০১ সাল।
 - সংসদ নির্বাচন - ২০০৮ সাল।
 - সংসদ নির্বাচন - ২০১৪ সাল।
 - সাংসদ নির্বাচন - ২০১৮ সাল।
 - সর্বশেষ সংসদ নির্বাচন - ৭ই জানুয়ারি ২০২৪।
 
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কবে হবে
  সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন ৭ই জানুয়ারি ২০২৪
  সালে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ সাথেই জানুয়ারি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত
  হতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী
  শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে দুইটি দল থাকবে। তার
  মধ্যে একটি হচ্ছে বিএনপি এবং অপরটি জামায়াত। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ,-বিএনপি
  এবং  জামায়াত এই তিনটি দল থেকে তিনটি প্রতিনিধি নির্বাচন করা হবে। তারপরে
  জনসাধারণের যে প্রতিনিধিকে পছন্দ হবে তারা সেই প্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত
  করবেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল
  ২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল জানার আগে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে ২০১৮
  সালে কত তারিখে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনের ভোট হয়। ২০১৮ সালে ৩০ শে ডিসেম্বর
  ১১ তম জাতীয় সংসদ সদস্য জন্য সাধারণ নির্বাচন হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী
  লীগ বিজয় লাভ করে। অর্থাৎ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে
  ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আর এই বিজয়ের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বারের মতো
  প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ
  হাসিনা।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের হরমোন বেশি হলে কি সমস্যা হয়
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কত সালে অনুষ্ঠিত হয়
  আমাদের মধ্যে অনেকে প্রশ্ন জাগে যে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কত সালে
  হয়েছিল। আর এটির উত্তর হচ্ছে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ অনুষ্ঠিত হয়
  একে অক্টোবর ২০০১ সালে। আর এই নির্বাচনে দুটি প্রধান দল রয়েছে। আওয়ামী
  লীগের নেতৃত্বে ছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল অর্থাৎ
  বিএনপির নেতৃত্বে ছিলেন জননেত্রী খালেদা জিয়া।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কত সালে অনুষ্ঠিত হয়
  বাংলাদেশে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২৯ শে ডিসেম্বর ২০০৮ সালে।
  সাধারণত দুটি দল নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংঘটিত হয়। তার মধ্যে বাংলাদেশ
  জাতীয়তাবাদী দল অর্থাৎ বিএনপি এর নেতৃত্বে ছিলেন জননেত্রী খালেদা জিয়া এবং
  আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
শেষ কথা
  প্রিয় পাঠক এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি বাংলাদেশের সঠিক নির্বাচন এর করণীয়
  বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ
  দিয়ে পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে দেরি না করে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার
  করতে ভুলবেন না। এরকম নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য যদি পেতে চান তাহলে আমাদের
  ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন। সর্বশেষ সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর আপনার মতামত
  কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।

.png)
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url