ভালোবাসা কখন পূর্ণতা লাভ করে - কিভাবে ভালবাসলে মানুষ চিরসুখী হয়
  আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা ভাল আছেন আজকে আমরা যে বিষয় নিয়ে
  কথা বলব সেটি হচ্ছে ভালোবাসা কখন পূর্ণতা লাভ করে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আজকের এই
  পোস্টটি সাজানো হয়েছে তো এই পোস্টটির সম্পন্ন পড়তে থাকুন তাহলে বুঝতে পারবেন
  কিভাবে ভালবাসলে মানুষ চিরসুখী হয় সেই সম্পর্কে।
ভালোবাসার বিকল্প নেই। যুগে যুগে এই ভাষায় মানুষ মন প্রাণ দিয়ে এসেছেন। তাই তো
  প্রণয়ের জন্য মানুষ হন্যে হয়ে ঘুরতে থাকেন। কোথাও এক টুকরো মন পাওয়া গেলেই জীবন
  স্বার্থক হয়।ভালোবাসা কখন পূর্ণতা লাভ করে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্র: ভালোবাসা কখন পূর্ণতা লাভ করে - কিভাবে ভালবাসলে মানুষ চিরসুখী হয়
ভূমিকা
  ভালোবাসা পূর্ণতা লাভ করতে পারে নানা ভাবে। অনেকে মনে করেন যে ভালোবাসা সারাজীবন
  ধরে চলে, সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য হতে পারে। অন্যেরা মনে করেন যে ভালোবাসা
  সম্পূর্ণভাবে অনিশ্চিত, সাম্প্রতিক এবং পর্যাপ্ত মেয়াদ না রেখে থাকতে পারে।
  ভালোবাসা পূর্ণতা অর্জন করা সম্পর্কের প্রতি যারা ত্যাগব্দ্ধ, অনুকূল এবং সততা
  নিয়ে কাজ করে, তারা সাধারণভাবে ভালোবাসার পূর্ণতা অনুভব করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ জীবনে চলার পথে সময়কে কিভাবে ব্যয় করতে হয়
তা হলেও, প্রতিটি সম্পর্কে ভালোবাসা সম্পূর্ণভাবে লাভ করা সহজ নয়।
  আসুন তা আমরা জানব কিভাবে ভালবাসলে মানুষ চিরসুখী হয় এবং ভালোবাসা কখন পূর্ণতা
  লাভ করে সেই সম্পর্কে এই আর্টিকেলের মধ্যে সম্পন্ন লেখা হয়েছে তাই আর্টিকেলটি
  মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
শারীরিক সম্পর্ক ছাড়া কি প্রেম হয় না
  প্রেম সম্পূর্ণরূপে শারীরিক। শরীর বা অবয়ব নেই তো প্রেম নেই। অস্তিত্ব থাকতেই
  হবে এবং তা পরস্পরের কাছাকাছি আকর্ষিত হওয়ার মাধ্যমেই প্রেম। রামের সঙ্গে রাধিকার
  প্রেম। মানে তারা পরস্পরের প্রতি শরীরগতভাবে আকর্ষিত। তাই প্রেম। তা যদি না হত,
  যদি মনের ব্যাপার হত তাহলে লুকিয়ে দেখা করার ইচ্ছে হয় কেন? শুধু তো মনের মিল
  তাহলে ব্যাপারটা প্রকাশ্যই হোক।
শরীর বাদ দিয়ে যদি প্রেম হতো তাহলে রামের সঙ্গে ফতিমার প্রেম তাদের ফ্যামিলি কিংবা সবাই
  মেনে নিত। বিবাহিত স্বপ্না তার স্বামীর পরকীয়া প্রেম মেনে নিত।কিন্তু মানে না বা
  মানা যায় না তার কারণ ফতিমার ফ্যামিলি জানে এবং স্বপ্নাও জানে, আজ না হোক কাল
  ওরা শারীরিক মিলনে লিপ্ত হবেই হবে। যে কোন প্রেমিক বা প্রেমিকা তার দয়িতার
  বিয়েতে আপত্তি করবে না। ভাববে অন্য কারো সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে তো কি হয়েছে প্রেম তো আমাকেই করে। তা কিন্তু হয় না।
আরো পড়ুনঃ বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য
বরং প্রেমিক প্রেমিকা ভাবে আমি
  ছাড়া আমার দয়িতার শরীর আর করো যেন না হয়। কেন না প্রেম শারীরিক তাই।মনে মনে
  প্রতিশোধ স্পৃহা জেগে ওঠে ‘কি আমার সঙ্গে প্রেম আর অন্যলোককে বিয়ে, এ আমি
  কিছুতেই মেনে নেব না।’ কেন না প্রেম শারীরিক। আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রেম
  করার আসল উদ্দেশ্য হল বিয়ে করা।
অর্থাৎ শারীরিক সম্পর্কের ছাড়পত্র পাওয়া। প্রায়ই শোনা যায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস।
  তার আগে প্রেমের মাধ্যমে সেই সহবাসের পথ প্রশস্ত করা। প্রেম বাদ দিয়ে শারীরিক
  সম্পর্ক আকছার ঘটে। কিন্তু শরীর বাদ দিয়ে প্রেম একটাও নেই। শারীরিক সম্পর্ক
  ছাড়াও প্রেম সম্ভব। প্রেমের মানে সুখ, সম্পর্কের গভীরতা, সম্মান, সহানুভূতি এবং
  অন্যদের জীবনের জন্য সাপেক্ষে কর্তৃত্ব নিয়ে। শুধু শারীরিক নয়, মানসিক এবং
  আন্তরিক সংযোগের মাধ্যমেও প্রেম সৃষ্টি হতে পারে।
মন থেকে ভালবাসলে কি পাওয়া যায়
  কাউকে মন দিয়ে ভালোবাসা যাকে ‘সত্যিকারের ভালোবাসা’ ও বলা হয়। একজন ব্যক্তি যখন
  তার প্রেমিক/প্রেমিকাকে সব দয়ে ভালোবাসে বা একজন আরেকজনের জন্য সব করতে প্রস্তুত
  এমন অবস্থাকে মন দয়ে ভালোবাসা বা সত্যিকারের ভালোবাসা বলা যায়। মন থেকে ভালবাসলে
  সে মনটা যদি ভালো হয় তাহলে মন থেকে ভালবাসা পেলে মানুষ অনেক কিছু পেতে পারে। 
ভালবাসা দেওয়া এবং পেতে পেরে সাম্প্রতিক গবেষণা মনে করে যে, এটা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল হয়ে
  থাকে। ভালবাসা পেলে মানুষ একটি আনন্দমূলক এবং স্ত্রী-সন্তানের মতো বান্ধবীয়
  সম্পর্ক অনুভব করতে পারে। এটা আত্মবিশ্বাস এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে সাহায্য
  করতে পারে এবং মানুষকে সুখী ও সন্তুষ্ট করতে পারে। তবে, মন থেকে ভালবাসা নিয়ে
  একটি বিশেষ কারণে বা পুরোপুরি নির্ভর করে যে কেমন ভাবে এটি প্রকাশ পায়।
আরো পড়ুনঃ বিয়ে করার উত্তম সময় কোনটি
কিছুটা কৌশল ও পরিশ্রম প্রয়োজন হতে পারে যেন ভালবাসা অন্যের
  দেখানো এবং অনুভব করানো সহজ হয়।তবে, মন থেকে ভালবাসা নিয়ে একটি বিশেষ কারণে বা
  পুরোপুরি নির্ভর করে যে কেমন ভাবে এটি প্রকাশ পায়। কিছুটা কৌশল ও পরিশ্রম
  প্রয়োজন হতে পারে যেন ভালবাসা অন্যের দেখানো এবং অনুভব করানো সহজ হয়।
ভালবাসা একটি সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করতে
  সাহায্য করে এবং মানুষকে একটি স্থায়ী ও সুরক্ষিত অনুভূতি দেয়। এটি মানবতার একটি
  মূল অংশ এবং সমাজের সমানতা ও সহযোগিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত
  সম্পর্ক ভাল থাকে অনেকগুলি বিষয়ের উপর। পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করতে ভালবাসা
  প্রয়োজন। প্রেম হল আবেগের সংমিশ্রণে তৈরি হওয়া এক নিবিড় অনুভূতি। সম্পর্কের
  সমীকরণ ঠিক কতটা মজবুত হবে তা শুধু একে অপরের প্রতি ভালবাসার উপর নির্ভর করে না।
  ভালবাসা ছাড়াও সম্পর্ক মজবুত করতে প্রয়োজন আরও কয়েকটি জিনিসের। সম্পর্ক ভাল রাখতে
  একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখাটা প্রয়োজন। 
সম্পর্কে ওঠা-নামা থাকবেই। তবে বিশ্বাসের ভিত যদি দৃঢ় হয় তা হলে
  সম্পর্ক হবে অমলিনযে কোনও সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি সম্মান থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।
  একে অপরের পছন্দ, ভাললাগা আলাদা হতে পারে। অস্বাভাবিক কিছু নয়। পরস্পরের পছন্দ,
  অপছন্দ, উপলব্ধিগুলি এ়ড়িয়ে না গিয়ে বরং কখনও কখনও সেগুলিরও স্বাদ নিন। একসঙ্গে
  দু’জনের পছন্দগুলি ভাগাভাগি করে নিয়ে কোনও সম্পর্কে বন্ধুত্ব থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। 
এটি সুস্থ সম্পর্কের অন্যতম
  বৈশিষ্ট্য। দু’জনের ভাল লাগা, মন্দ লাগা, ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, উদ্বেগ, আনন্দ,
  চিন্তা— সব কিছুই একে অপরের কাছে মন খুলে প্রকাশ করুন। সম্পর্কে কোনও জড়তা
  রাখবেন না। সম্পর্ক সহজ করে তুলতে কোনও কিছু চেপে না রেখে মন খুলে বলে দিন।
  এমনকি, সঙ্গীর কোনও আচরণেও যদি খারাপ লাগে তা-ও জানিয়ে দিন।
  রাগ পুষে রাখলে শুধু জটিলতাই বাড়বে। কিছু লাভ হবে না।একে অপরের আশ্রয় হয়ে
  উঠুনপ্রেমে পড়লে যে কেউ একটি নিশ্চিন্ত আশ্রয় খোঁজেন। চান একটি ভরসার কাঁধ। আপনি
  আপনার সঙ্গীর সেই ভরসার জায়গা হয়ে উঠুন। একে অপরের খারাপ সময়ে মানসিক জোর দিন।
  সম্পর্ক ভাল রাখতে মানসিক স্পর্শ জরুরি।
ভালোবাসলে কি কি হয়
  নারী-পুরুষের প্রেম চিরন্তন। আমরা চাই ভালোবাসা পেতে। আমরা চাই ভালোবাসা দিতে।
  অনেক ক্ষেত্রে মানুষ নিজের প্রয়োজনের কথা না ভেবেই প্রেমে পড়ে। স্বয়ংক্রিয় আবেগ
  এবং ভালো লাগার তাড়না এ ক্ষেত্রে কাজ করে। তবে বিশুদ্ধ প্রেম মনে প্রশান্তি এনে
  দেয়। এতে শরীর উপকৃত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রেম-ভালোবাসার জাদুকরী শক্তি শরীরে
  বিস্ময়কর প্রভাব ফেলে। যেমন:
- রক্তচাপ
 - কোলেস্টেরল
 - জীবনের আয়ু
 - হরমোন
 - হার্ট অ্যাটাক
 - ব্যথানাশক
 
শেষ কথা
  আশা করছি এই পোস্টটি পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন ভালোবাসা কখন পূর্ণতা লাভ করে
  এবং কিভাবে ভালবাসলে মানুষ চিরসুখী হয় সেই বিষয়ে আপনার ধারণা এই পোস্টের ভিতরে
  উপস্থাপন করা হয়েছে আশা করছি। আপনি পোস্টটি পড়ে অনেকটাই বুঝতে পেরেছেন। আর যদি
  এই পোস্টটি আপনারা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন এবং
  এরকম আরো নতুন নতুন করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করতে
  পারেন।ধন্যবাদ
.png)
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url